টিপ্স ভান্ডার

ব্লগিং টিপস, স্টিমিট টিপস, স্বাস্থ্য ও মন ঠিক রাখার উপায়, ইংরেজিতে কথা বলার সহজ সরল উপায়, অসমাপ্ত ভালোবাসার কাহিনী,

রবিবার, ৫ আগস্ট, ২০১৮

আগস্ট ০৫, ২০১৮

ইংরেজি তে কথা বলা শেখার সহজ টিপস(৫ উপায়)- how to learn speak english? 5 smart tips in bangla

ইংরেজি শিখুন

 ইংরেজি তে কথা বলা শেখার সহজ টিপস(৫ উপায়)- how to learn speak english? 5 smart tips in bangla....




  • friend ইংরেজি একটি বিদেশী ভাষা হলে ও আজকাল যেমন পয়সা ছাড়া মানুষ অচল হয়ে পড়ে ঠিক সে রকম আপনি যদি ভালোভাবে ইংরেজি বলতে না পারেন তবে সেটা অনেক জায়গায় একটি চিন্তার বিষয় হয়ে পড়ে। আমরা অনেকেই বিভিন্ন সোসাল সাইট যেমন ফেসবুক টুইটারে পোস্ট কমেন্ট ইংরেজি তে করে থাকি নিজের talent অন্যদের দেখানোর জন্য এবং সেগুলো ভুল হয়ে যাওয়ার কারনে আমাদের পোস্টে অপমান জনক কমেন্ট চলে আসে ফলে আমরা নিজেরাই সম্মান পাওয়ার পরিবর্তএ অপমান হয়, তাছাড়া  ইংরেজি তে কথা কিভাবে বলা যায় এই বিষয় টি এখনকার সময় ইন্টারনেটে সবচেয়ে বেশী সার্চ হচ্ছে। তাই এই অসুবিধা দূর করতে নিয়ে এলাম আমাদের এই একটি সহজ কোর্স যেটা ভালোভাবে ফলো করলে আপনি ও পারবেন খুব অল্প সময়ে ভালোভাবে ইংরেজি তে কথা বলতে। আপনি যদি মন থেকে চান ইংরেজিতে কথা বলতে তবে এই টিপস গুলো ভালোভাবে ফলো করতে থাকুন। 



  • ইংরেজিতে কথা বলা শেখার সহজ ৫ টিপস....

১. বেশী গ্রামার পড়বেন না...


অল্প দিনে ইংরেজিতে কথা বলা শিখতে হলে বেশি বেশি গ্রামার পড়া বাদ দিতে, এই কথাটা অনেক ছাত্রের কাছে আশ্চর্য মনে হতে পারে তবে এটাই একটি অন্যতম টিপস speak english এর জন্য। প্রথমে আপনাকে গ্রামার বাদ দিয়ে বেশি বেশি করে বাক্য (sentence) পড়তে হবে। গ্রামারের নিয়ম মেনে চলার কারণে অনেকে ইংরেজি বাক্য বানাতে চিন্তায় পড়ে যায়। আপনি হাজার গ্রামার শিখে একটি ও বাক্য বানাতে পারবেন না কিন্তু কিছু বাক্য পড়া শিখে অনেক গ্রামারের নিয়ম আপনা আপনি শিখে যাবেন। একটা বাচ্চা যখন ভাষা বলতে শিখে তখন তার কোন গ্রামারের প্রয়োজন হয় না শুধু বাক্য( sentence)  শিখেই কথা বলা শিখে যায়। তাই ইংরেজি বলা শিখতে চাইলে বেশি পরিমানে বাক্য পড়া শুরু করুন।


২. ফেসবুক ব্যাবহার করুন ইংরেজিতে....


 আমরা জানি অভ্যাসের দ্বারা আমরা অনেক কিছুই পরিবর্তন করতে পারি। আমরা প্রতিনিয়ত যে ফেসবুক ব্যাবহার করি সেখানে চ্যাটিং কমেন্ট সব ইংরেজিতে করার চেস্টা করুন এতে করে ধীরে ধিরে আমাদের ব্রেন ছোট ছোট  ইংরেজি বাক্য বানাতে থাকে এবং ধিরে ধিরে সেটা বড় বাকে পরিণত হয়। প্রথমে ভুল হতেই পারে কিন্তু এতে লজ্জা পাওয়ার কোন প্রয়োহজন নাই কারণ মানুষ মাত্রাই ভুল আর প্রত্যেক টা ভুল ঠিক টা শিখিয়ে দেয়।
ফেসবুক চ্যাট

৩. ইংরেজি সিনেমা দেখুন...


ইংরেজি বলা শিখতে ইংরেজি সিনেমা দেখার গুরুত্ব অপরিসীম। অনেকেই আছে যারা হিন্দি সিনেমা দেখেন এবং তারা খুব ভালোভাবেই হিন্দি বলতে পারে যদি ও তারা কোথাও হিন্দি স্কুলে পড়া শুনা করেন নি। ঠিক তেমনি ইংরেজি সিনেমা অথবা সিরিয়াল যদি আপনি প্রতিদিন  একটু  একটু  করে দেখতে থাকেন তবে আপনি নিজেই  বুঝতে পারবেন আপনার ব্রেন অটোম্যটিক অনেক ইংরেজি বাক্য তৈরি করতে পারছে।
সিনেমা

৪. একটা বন্ধু খুজুন...


ইংরেজি তে কথা বলা শিখতে হলে আপনাকে একটা ভালো বন্ধুর প্রয়োজন হবে যিনি ইংরেজি শিখতে আগ্রহী। এখন দুজনে মিলে একটু একটু  করে ইংরেজিতে  গল্প করা প্রাক্টিস করুন। বন্ধুর সাথে কথা বলতে ভুল হলে লজ্জার কোন কথাই ওঠেনা কিন্তু ইংরেজি বলতে যে ভয়টা থাকে সেটা দূর হয়ে যায়, পরবর্তীতে অন্যদের সাথে কথা বলতে আর কোন ভয় থাকে না। তাছাড়া প্রতিদিন বন্ধুর সাথে ইংরেজিতে গল্প করা আপনার ইংরেজি বলার স্পীড দ্রুত করে।

৫. ইংরেজি গল্পের বই পড়ুন...


ইংরেজি গল্পের বই পড়া ইংরেজি তে কথা বলা শেখার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়। ইংরেজি বই পড়ার ফলে আপনার ইংরেজি শব্দগুলোর উচ্চারণ পরিস্কার হয়ে যায়। এমন কিছু ইংরেজি শব্দ আছে যেগুলো মখে বললে পুরোপুরি বুঝতে পারা যায় না এর অর্থ  তাই অনেক সময় ভুল ধারনা কথার মধ্যে চলে আসে। যেমন- know- জানা see- দেখা sea- সুমদ্র ইত্যাদি।

* ইংরেজিতে কথা বলা শিখতে  যে সব tence, verb, adjective, noun, pronoun, যেগুলো সাধারনত দরকার এগুলো পরের পোস্টে বিস্তারিত আলোচনা করবো। আপনি যেই একটু একটু জানেন সেগুলো উপরিউক্ত নিয়ম মেনে প্রাক্টিস করুন আর প্রতিদিন ভিজিট করতে থাকুন এই সাইটে আমি আপনাদের জন্য নিয়ে আসবো এমন কিছু উপায় যার দ্বারা আপনি শিখে নিতে পারবেন ইংরেজিতে কথা বলা মাত্র ৩০ দিনে ততক্ষন ভালো থাকবেন। কিছু বলার থাকলে নিচে কমেন্ট বক্সে জানাবেন এবং পোস্টগুলো অন্যদের সাথে শেয়ার করবেন যাতে সকলে ইংরেজির বিষয়ে কিছু শিখতে পারে।
     

শুক্রবার, ৩ আগস্ট, ২০১৮

আগস্ট ০৩, ২০১৮

কাদিয়ে দেবে এই ভালোবাসার কাহিনী,ভালোবাসার পরিণাম মৃত্যু- fail in love, heart touching love story

কাদিয়ে দেবে এই ভালোবাসার কাহিনী,ভালোবাসার পরিণাম মৃত্যু- fail in love, heart touching love story... 


ভালোবাসা কোন জাত পাত দেখে হয় না, ভালোবাসা কোন সময় দেখেও হয় না, ভালোবাসা কখন কিভাবে হবে কেউ বলতে পারে না কারণ ভালোবাসা মনের আকর্ষণ, এটি হঠাত করে মন থেকে সৃষ্টি হয়। ভালোবাসার শেষ পরিণতি কি হবে সেটা ও মানুষ বুঝতে পারে না কারণ মানুষ যখন কাউকে ভালোবেসে ফেলে তখন সে অন্ধ হয়ে যায়, তার চোখ শুধু ভালোবাসা ছাড়া আর কিছুই দেখতে পাই না।



আজ এমনি একটি অন্ধ ভালোবাসার গল্প বলবো যার পরিণতি খুব ভয়ঙ্কর। গল্প টি যদি ও আমার না তবে পুরোটাই একটা সত্য ঘটনা।
মৃত্যু
একটা ছেলে একটা মেয়েকে ভালোবাসতো, মেয়েটি ও ছেলেটি কে খুব ভালোবাসতো, কিন্তু ছেলেটি ছিল খুব গরিব একজন অটো চালকের ছেলে আর মেয়েটি ছিল একজন বড়লোকের মেয়ে তাছাড়া মেয়েটি ও ছেলেটির জাত ছিল আলাদা তাই তাদের প্রেম নিয়ে তারা এক সময় খুব কঠিন এক পরিস্থিতির সামনা সামনি হয়েছিল। জাত ও টাকা পয়সার বিভেদের কারণে ছেলেটির ভালোবাসা তো হারিয়ে ফেলেছিল এমন কি তাকে এই ভালোবাসা মৃত্যর মুখে ও ঠেলে দিয়েছিল।




ছেলেটির নাম আসিফ এবং মেয়েটি বুলটি এক ক্লাসের স্টুডেন্ট ছিল এবং ওই স্কুল থেকেই তাদের ভালোবাসার সৃস্টি হয়।এই ভালোবাসা কে ঘিরে তারা অনেক স্বপ্ন দেখেছিলো কিন্তু নিয়তির খেলা কে বা বুঝতে পারে। তাদের এই ভালোবাসা এমন হয়ে উঠেছিল যেন একটি সুতোয় বাধা থাকে দুইটি ফুল। কিন্তু জীবনে এমন কিছু সময় আসে যা আমরা কল্পনা ও করতে পারি না। দীর্ঘ  দুই বছর এই প্রেম নিয়ে আসিফ আর বুলটি খুব হাসি খুশি তে তাদের জীবন অতিবাহিত করছিলো। হঠাত করে দেখা দিল এমন এক লিলা খেলা যা ছিন্ন ভিন্ন করে দিয়েছিল দুটি ফুলের মত জীবন।


ঃ ভালোবাসার উপর নিয়তির ঝড়...



একদিন আসিফ বুলটি কে বললো তুমি কি আমাকে বিয়ে করতে পারবে? আমি তোমায় ছাড়া পৃথিবী তে বেচে থাকার কথা কল্পনা ও করতে পারিনা, মেয়েটি বলল হ্যা আমি ও তোমায় কোনদিন ভুলে থাকতে পারবো না, আমি তোমায় বিয়ে করতে রাজি আছি কিন্তু আমাদের বাড়িতে এই বিয়ে মেনে নিবে না এবং আমাদের এই কঠিন সমাজ আমাদের ভালোবাসা নিয়ে পৃথিবীতে বেচে থাকতে দেবে না। তাড়িয়ে দেবে আমাদের। ছেলেটি বলল তবে আমি যেই দিন নিজের পায়ে দাড়াব সেই দিন তোমায় বিয়ে করে নিয়ে যাবো যাতে এই সমাজ আমাদের উপর অত্যচার না করতে পারে, ছেলেটির এই কথা শুনে মেয়েটি তার উপর ভরসা রাখতে না পেরে বলেছিল আমি অন্য কোথাও বিয়ে করলে কি হবে তবু ও তোমার জন্য আমার প্রেম এক বিন্ধু ও কম হবে না।আমার যতক্ষন শ্বাস চলবে তোমায় ভালোবাসতে থাকবো। এই কথা শুনে ছেলেটি মেয়েটির কাছ থেকে দূরে সরে যাওয়ার কথা মনে গেথে নিয়ে ছিলো এবং মেয়েটি যাতে ছেলেটি কে ঘৃণা করে সেই আচরণ করতে থাকে। ছেলেটি যদি ও মেয়েটি কে খুব ভালো বাসতো তবু ও মেয়েটি যাতে খুব সুখে থাকতে পারে তাই অনেক কষ্ট বুকে নিয়ে মেয়েটির সুখের আশায় নিজের ভালোবাসা কে কুরবানি করল।





এই কথা হওয়ার পর ছেলেটি মেয়েটির কাছ থেকে আস্তে আস্তে সরে যেতে থাকে এবং দেখা কথা ও কম হতে থাকে। এক সময় বুল্টির মা বাবা একটা ছেলে দেখে বুল্টির বিয়ের দিন ঠিক করে ফেলে। বিয়ের দিন আসিফ তার শেষ বিদায়ের প্ল্যান বানিয়ে ফেলে। অনেক ধুম ধাম করে বিয়ে হচ্ছে এই সময় আসিফ ফোন করে মেয়েটির ছোট বোন কে এবং বলে আমার কথা গুলো মোবাইলে রেকোডিং করে রেখো আর তোমার বোনের বিয়ের দুই দিন পর তাকে শুনিয়ে দিও আমি ওকে ছাড়া কোন দিন বাচার চেষ্টা করি নি আর বুলটি অন্য কারু হোক এটা আমি কিভাবে মেনে নিতে পারি এই বলে ফোন টা কেটে দেই।
বিয়ে

 বিয়ের দুই দিন পর বুলটির ছোট  বোন বুল্টি কে ডাকে কিছু শোনাবার জন্য এবং সেই রেকোডিং টা প্লে করে, রেকোডিং প্লে হতেই বুলটি বুঝে যাই এটি তো আসিফের আওয়াজ তুই কোথায় পেলি? সে কেদে ফেলে আর বলে দিদি তোমার যখন বিয়ের অনুসঠান চলছিলো তখন আসিফ ফোন করেছিল কিন্ত আমি তোমায় জানাতে পারি নি আমি শফতের শিকলে বাধা ছিলাম। বুলটি তাকে ধমক দিয়ে বলে ফোন লাগা, ফোন লাগিয়ে ফোনে আওয়াজ শুনতে পায় আসিফের মার, বুল্টি জিঙ্গেস করে আন্টি আসিফ কোথাই? আসিফের মা কান্নায় ভেঙে পরে এবং বলে গত ১০ জানুয়ারি আসিফ গলায় ফাসী লাগিয়ে আত্মহত্য করেছে কিন্ত কেন এসব করলো আমি কিছুই জানি না।  (এটা সেই ১০ জানুয়ারি যেদিন বুলটির বিয়ে হয়) এই কথা শুনে মেয়েটি ও কান্না করতে করতে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে, এখন আর কি করার আছে যেই আসিফের নাম বুলটির প্রতিটি শ্বাস প্রশ্বাসে মিশে থাকতো সেই আসিফ চিরতরে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছে বুলটির সুখের জন্য। বুলটি ভরসা করতে পারে নি আসিফের উপর, আর এই তার পরিণাম। একটা তাজা জীবন হারিয়ে গেল এই অবিশ্বাস আর অভরসার কারনে। এদিকে বুলটি ও বিয়ে করে নতুন মানুষ পেয়ে কেদে কেদে কাটিয়ে চলেছে তার সেই বিয়ের পরের জীবন।
দুঃখের জীবন

এভাবেই মানুষ নিজের জীবন শেষ করে দিচ্ছে ভালোবাসার কারনে, তারা মনে করে ভালোবাসাই জীবন, নাকি জীবনই ভালোবাসা এছাড়া আজ আমার প্রশ্ন এই সমাজের কাছে ভালোবাসা কি মহাপাপ? যার জন্য তাজা তাজা জীবন প্রতিনিয়ত হারিয়ে যাচ্ছে এই পৃথিবী থেকে কমেন্টে অবশ্যই জানাবেন আপনার মতামত আর পোস্ট টা অন্য বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন যারা এই পরিস্তিতির মুখে রয়েছে। শিখিয়ে দিন সবাই কে জীবন সবচেয়ে উত্তম।




ঃ বিশেষ দৃষ্টান্ত..


আমি ভালোবাসি নি আর এটি আমার ঘটনা ও না তবে প্রতিনিয়র ঘটে চলেছে এই ঘটনা। আপনার যদি জানা থাকে এরকম ভয়ানক   দৃস্টান্ত অবশ্যাই আমাদের সাথে শেয়ার করবেন।
এটাও পড়ুন.....
একটা অসমাপ্ত ভালোবাসার কাহিনী,( ব্যার্থ প্রেম)-a heart touching sad love story

বৃহস্পতিবার, ২ আগস্ট, ২০১৮

আগস্ট ০২, ২০১৮

একটা অসমাপ্ত ভালোবাসার কাহিনী,( ব্যার্থ প্রেম)-a heart touching sad love story

একটা অসমাপ্ত ভালোবাসার কাহিনী,( ব্যার্থ প্রেম)-a heart touching sad love story

আমি রকি আজ থেকে দুই বছর আগেকার কথা, মাধ্যমিক পরিক্ষা দিয়েছিলাম আর ভাবছিলাম রেজাল্টের কথা। আমি খুব একটা ভালো ছাত্র ছিলাম না তাই ভাবছিলাম এই পড়াশুনা আর আমার দ্বারায় হবে না আমি স্কুল থেকে বিদায় নিয়ে দাদার গ্যারেজে কামে জয়েন করবো। আব্বু কে বলে দিলাম আমি আর পড়াশুনা করবো না, আব্বু খুব বকেছিল এবং শেষ মেশ স্কুল ছেড়ে দেওয়ার কথা ফাইনাল হয়ে গেল। এদিকে পরিক্ষার রেজাল্ট এল আমি পাশ করেছি। যাই হোক এবার একটু চিন্তা মুক্ত হলাম, কিন্তু ভাগ্যের চাকা অন্যদিকে ঘুরছিলো। আমাদের বাড়িটা ছিলো স্কুলের সামনে, বাড়ি থেকে স্কুলের সব ছেলেমেয়ে দের দেখতে পেতাম। এখন স্কুলে বিভিন্ন জায়গা থেকে ছাত্র ছাত্রী এসে ভরতি হচ্ছে।
ব্যার্থ প্রেম



বাড়ির বাংলায় দাঁড়িয়ে ছিলাম আর স্কুল টা কে দেখছিলাম। হঠাত দেখি একটা মেয়ে স্কুল ড্রেসে স্কুলে ঢুকছে, মেয়েটা কে এই প্রথম দেখছি। অন্য স্কুল থেকে এসেছে হবে মনে মনে ভাবলাম। মেয়েটা কে প্রথম দেখা দেখাতে আমার মন টা কেমন করে উঠল, মেয়েটা কে দেখার জন্য এক পা এক পা করে স্কুলের দিকে যেতে থাকলাম, অন্য বন্ধুদের জিঙ্গাসা করে জানতে পারলাম মেয়েটা একাদ্বশ শ্রেনী তে পড়ে, আমার মনে হল মেয়ে টা যেন আমার জন্যই এসেছে। মেয়েটা শুধু দেখতেই ইচ্ছে করত। অবশেষে আমি আবার স্কুলে ভরতি হোওয়ার জন্য আব্বু কে বললাম এবং ভরতি ও হয়ে গেলাম। মেয়েটা কে দেখেই আমি যেন পুরোটায় বদলে গেলাম, প্রতিদিন স্কুলে যেতে লাগলাম। মেয়েটার নাম জানতে খুব ইচ্ছে করছিলো কিন্তু জিঙ্গেস করতে সাহস পাচ্ছিলাম না, কিছু দিন এ রকম উদাস মন নিয়ে ঘুরে বেড়াতে থাকি আর মনে মনে শুধু মেয়েটার কথায় ভাবতাম। অবশেষে জানতে পারলাম মেয়েটার নাম সীমা। সীমা কে নিয়ে আমি সব সময় কল্পনার জগতে ভেসে বেড়াতাম। সব সময় ওর চোখে চোখ দিয়ে দেখতাম ওকে।
ভালোবাসার সময়



হঠাত একদিন সীমা স্কুলে আসেনি, সেদিন মনে হচ্ছিলো ওই দিন টাই যেন আমার জীবনের সবচেয়ে খারাপ দিন। কেন জানি না সীমা কে একদিন না দেখে আমি থাকতে পারতাম না। বন্ধুদের কে এই কথাটা জানালে তারা বলে আমি নাকি প্রেমে পড়েছি, হ্যা  আমি সত্যিই সীমার প্রেমে পড়ে গেছি। তবে তাকে এই প্রেমের কথা বলতে পারি নি। একদিন সীমার জন্মদিনে কিছু বন্ধু কে আমন্ত্রন করে তাতে আমি ও ছিলাম, মনে মনে ভাবলাম এই বুঝি সীমা কে কথা বলার দিন চলে এসেছে। জন্মদিনে গিয়ে প্রথম কথা বলেছিলাম happy birth day সীমা, সীমা ও মধুর কন্ঠে বলেছিলো thank you রকি। সীমার আওয়াজ টা যেন এসে আমার বুকে বাধল, পরের দিন স্কুলে গিয়ে সীমার সাথে একটু  একটু কথা বলা চলতে লাগলো ধিরে ধীরে আমরা ভালো বন্ধু ও হয়ে গেলাম।

অসমাপ্ত প্রেমের কাহিনী...


আমি সীমা কে খুব ভালোবাসতাম, কিন্তু এই কথাটা তাকে কি করে জানাই, সীমা আমাকে ভালো বন্ধু মনে করতো, এই বন্ধুত্ত হারানোর ভয়ে ভালোবাসি কথাটা তাকে বলতে পারতাম না। এভাবে কেটে গেল দুই মাস, একদিন টিফিনের সময় সীমা আর আমি এক জায়গায় বসে গল্প করতে করতে ওর ফোন নাম্বার টা চেয়ে ফেলি ও প্রথমে দিলো না কিন্তু আমি অভিমান করাতে নাম্বার টা দিলো।

 ।সীমার মোবাইল নাম্বার পেয়ে আমি খুশিতে আটখানা, স্কুল ছুটি হয়ে গেল আমরা নিজের নিজের বাড়ি চলে গেলাম, শুরু হয়ে গেল সীমার আর আমার ফোনে কথা বলা। অনেক মজার মজার কথা বলত সীমা আর হাসত। যেমন মিস্টি মেয়ে তেমনি ছিল তার হাসি।


একদিন আমি সীমা কে বলে ফেললাম আমার মনের কথা, সীমা আমি তোমাকে ভালোবাসি, আমি তোমাকে পেতে চাই আমার করে, আমি তোমাকে ছাড়া বাচব না। কথা গুলো যেই বলা ওমনি ফোন কেটে দিল, আমি তো ভয় খেয়ে গেলাম এই হয়ত সীমার আর আমার বন্ধুত্ত শেষ। বার বার ফোন লাগায় কিন্তু ফোন কেটে দেয়। কোন রকমে ওই রাত টা কাটিয়ে পরের দিন স্কুলে গিয়ে সীমার সাথে দেখা হয়, দেখি সীমা আমার দিকে কি রকম করুন দৃস্টি তে তাকাতে থাকে, সীমার ওই কাজল কালো চোখ যেন কিছু বলতে চাইছে, আমি ও সীমার দিকে তাকাতে থাকি বার বার। একবার সীমার একবান্ধবী একটা ফাকা জাইগায় আমাকে ডেকে নিয়ে যায় সেখানে দেখি সীমা মুখ লুকিয়ে  দাঁড়িয়ে রয়েছে মনে হচ্ছে যেন আমার ওপেক্ষা তেই আছে। সীমার সাথে দেখা হতেই দেখি আমাদের বাংলা স্যার ক্লাসে ঢুকে পড়েছে, যাহ! কোন কথায় হল না, আমি শুধু সীমার ওই না বলা কথার অপেক্ষায় থাকি, তার উত্তরের আশায় আমার মন ছটফট করতে থাকে। পরের দিন সীমার এক বান্ধবী একটা চিঠি আমাকে দিল আর বলল এটা সীমা দিয়েছে। বাড়িতে এসে চিঠি টা খুলে দেখি, চিটি তে লেখা প্রিয় রকি  আমি অনেক আগে থেকেই তোমাকে ভালোবাসো, আমি ও তোমাকে প্রথম দেখা তে ভালোবেসে ফেলেছি কিন্তু বলতে পারি নি কারণ আমি যে শিকলে বাধা, আমার বিয়ে ঠিক হয়ে আছে অন্য এক জনের সাথে তাই আমার ভালোবাসার কথা তোমায় বলতে পারি নি কিন্তু আমি ও আর না বলে থাকতে পারলাম না, আমি তোমায় খুব ভালোবাসি খুব। আর আমি তোমাকে কোনদিন হারাতে চাই না।




এভাবে শুরু হল আমার ও সীমার প্রেম কাহিনী কিন্তু আমি ভেবেই পাচ্ছিলাম না এর শেষ পরিণতি কি হবে। কারণ তার তো বিয়ে ঠিক হয়ে আছে। যাই হোক শুরু হল ক্লাস ফাকি দিয়ে সীমার সাথে লুকিয়ে লুকিয়ে কথা বলা, সারারাত ফোনে আমাদের নতুন প্রেম নিয়ে অনেক মজা করতাম কখনো বা হাসি কখনো অভিমান কখনো রাগারাগি এভাবে ছয় মাস কেটে গেল।স্কুলে গরমের ছুটি দিয়েছে একমাস সীমার সাথে দেখা করতে পারবো না তাই ছুটির পরে দুজনে স্কুলের পিছনে কিছু করুণ দয়ামায়া যুক্ত কথা, ভালো থেকো নিজের খেয়াল রেখো এসব বলে নিজের নিজের বাড়িতে চলে যায়। কিন্ত আমি ভাবতে পারি নি এই একমাস আমাকে এতটা কস্ট দিতে এসেছিল, এই মাস টাই যেন আমার সারা জীবন শেষ করতে এসেছিল। একদিন ফোনে সীমা আমাকে বলে ওকে নাকি বর পক্ষ দেখতে এসেছিল আজ ওদের বিয়েটা নাকি খুব তাড়াতাড়ি দিয়ে দেবে। সীমা কান্নার মতো করে বলছে তুমি কিছু একটা কর রকি আমি এ বিয়ে করতে চাই না আমি শুধু তোমাকেই আমার জীবন সঙ্গি বানাতে চাই, চলো আমরা পালিয়ে বিয়ে করি। কিন্তু আমি ওকে সান্তনা দিই কালকে তোমার বাড়ি গিয়ে তোমার আব্বু কে বলবো আমাদের কথা আর তোমাকে তোমার আব্বুর কাছ থেকে ভিক্ষা চেয়ে নিবো। যেই বলা সেই কাজ পরের দিন গেলাম সীমাদের বাড়ি আর সীমার মা বাবার কাছে বললাম আমাদের প্রেমের কথা কিন্তু ওরা মেনে নিল না উলটো আমাকে বড় বড় কিছু কথা শুনিয়ে দিল, আমি ও বলে দিয়েছিলাম অনেক কথা, সীমার আব্বুর সাথে অনেক কথা কাটা কাটি চলছিল সেই সময় সীমা এসে আমাকে একটা চড় মেরে বলে যাও বাড়ি থেকে বের হয়ে আমি তোমায় ভালোবাসি না , সত্যিই অনেক বাড়াবাড়ি হয়ে গিয়েছিল, কিন্তু যেই সীমা কে আমার জীবনের চেয়ে বেশী ভালোবাসি সেই সীমা আমাকে চড় মেরে অপমান করে তাড়িয়ে দিল এই টা মেনে নিতে পারছিলাম না তাই সীমার উপরে আমি মনে মনে অনেক রেগে গিয়েছিলাম, ফোন ও আর হই নি আমাদের মধ্যে ।কোন রকমে তিন দিন খুব কস্ট বুকে নিয়ে কাটালাম।


আমার রাগের পরিণতি..

ভালোবাসার পরিণাম


পরের দিন রাত্রে সীমা তিন চার বার ফোন করে আমার মোবাইলে আমি রিসিভ করি নি এবং মোবাইল silent করে দিই। সকালে উঠে বাড়ি থেকে বার হয়ে দেখি কিছু দূরে একটা রক্ত মাখা দেহ পড়ে আছে, সব লোক জমা হয়ে যায় এবং রক্ত মাখা দেহ টা দেখে আমার তো চক্কর চলে আসে আর মাটিতে লুটিয়ে পড়ে যায়। সেই দেহ টি ছিল আমার প্রিয়তমা সীমার দেহ। মোবাইল খুলে দেখি ৬ টি মিসড কল এবং একটা মেসেজ, মেসেজে লেখা ছিল, প্রিয় রকী তোমার অভিমান আমি সহ্য করতে পারি নি, আমি বাড়ি থেকে পালিয়ে এসেছি শুধু তোমাকে পাওয়ার জন্য আর রাস্তায় আমার এক্সিডেন্ট হয়ে গেছে,আমার বলার অনেক কথা ছিল কিন্তু আর বলা হল না তুমি শেষ বারের মত একবার আমায় দেখা দাও আমি পৃথিবী ছেড়ে চলে যাচ্ছি তুমি ভালো থেকো আর পারলে আমায় ক্ষমা করে দিও। এভাবেই শেষ হয়ে গেল আমার তিলে তিলে গড়া ভালোবাসা, আজ ও আমি ওই রক্ত মাখা দেহ টা ভুলতে পারি নি আমার বেচে থাকা যেন মরণ যন্ত্রনার সমান । তো বন্ধু রা সময় থাকতে ভালোবাসার মুল্য দিতে হয়, নই তো নিজেকেই কাদতে হয় সারা জীবন। ভালো থাকবেন আর ভালোবাসার মানুষের খেয়াল রাখবেন। এই গল্প টি ভালো লাগলে অবশ্যয় জানাবেন কমেন্ট করে আর বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করবেন।

এটাও পড়ুন....

কাদিয়ে দেবে এই ভালোবাসার কাহিনী,ভালোবাসার পরিণাম মৃত্যু- fail in love, heart touching love story... 

মঙ্গলবার, ৩১ জুলাই, ২০১৮

জুলাই ৩১, ২০১৮

৮ টিপ্সঃমুখের কালো দাগ কিভাবে দূর করা যায়? ( 8 tips) remove face black spots



আজ আমরা আলোচনা করবো মুখের উপর যে কালো দাগ পড়ে সেটা দূর কিভাবে করা যায়। সবাই চাই নিজের চেহারা টা যেন একটু সুন্দর দেখায়, আজকাল সব  ছেলে মেয়ে নিজের স্কিনের যত্ন নিয়ে ব্যাস্ত থাকে।কিন্তু এই কালো দাগ দূর করা নিয়ে অনেক চিন্তিত তাই আজ কিছু টিপস আমরা আলোচনা করবো যার দ্বারা আপনি বাড়িতে বসে বিনা খরচে আপনার মুখের এই কালো দাগ দূর করতে পারবেন। আসুন জেনে নিয় সেই ঘরেলু উপায় গুলি।
কালো-দাগ
 মুখের দাগ



 ৮ উপায় মুখের কালো দাগ দূর করার...



১. খুব রোদে বাহিরে বের না হওয়া..


খুব রোদে বাহিরে বের না হওয়ায় ভালো। যদি আপনাকে রোদে বের হতেই হয় তবে মুখে suns cream লাগিয়ে বের হবেন। এতে মুখের উপর রদের প্রভাব কম পড়বে আর আপনার মুখের দাগ মুছে যেতে থাকবে।


২. মুখ ঘেমে যাওয়ার সাথে সাথে সাফ করুন..


অনেক সময় দেখা যায় আমাদের কাজ করতে অথবা ঘুরে বেড়াতে গরমের প্রভাবে মুখ বার বার ঘামতে থাকে, আর আমরা সেটা রুমাল দিয়ে মুছতে থাকি।যদি আপনার মুখ তাড়াতাড়ি ঘামতে থাকে তবে মুখ সাফ করতে টিসু পেপার ব্যাবহার করুন।
রুমালে বার বার মুখ সাফ করবেন না, এতে মুখে ইনফেক্সান হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।


৩.বেকিং সোডা..


যে সোডা খাবারে ব্যাবহার করা হয় সেটা কে বেকিং সোডা বলে। এই বেকিং সোডা প্রথমে জলের সঙ্গে মিশিয়ে নিন, এরপর যখন সোডা জলের সঙ্গে মিশে গাঢ় হয়ে যাবে তখন সেটা নিয়ে মুখের কালো দাগের উপর লাগিয়ে দিন আর ১০ মিনিট বাদ ধুয়ে ফেলুন। পর পর এক সপ্তাহ এই সোডা লাগাতে থাকুন দেখবেন আপনার মুখের কালো দাগ ধীরে ধীরে চলে গেছে।



৪.মধু,লেবু ও চিনির ব্যাবহার..


প্রথমে একটি লেবুর রস বের করুন এবং ওই রসে দুই চামচ মধু ও এক চামচ চিনি মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন। এই পেস্ট মুখের কালো দাগের উপর লাগিয়ে রাখুন ১০ মিনিট এবং ১০ মিনিট পর আংগুল দিয়ে ঘষে ঘষে ওই পেস্ট মুখ থেকে সাফ করে ফেলুন। এতে মুখের কালো দাগ খুব তাড়াতাড়ি দূর হয়ে যাবে।
কিভাবে-করা-যায়
মুখের দাগ



৫. টমাটোর রস...


মুখের কালো দাগ দূর করতে টমাটোর রস খুব উপকারি। প্রথমে দুই টি টমাটোর রস বের করে নিন এবং দশ মিনিট রেখে দিন। রাতে শুতে যাওয়ার সময় ওই টমাটোর রস মুখের কালো দাগের উপর লাগিয়ে নিন। সকালে উঠে ধুয়ে ফেলুন। এতে আপনার মুখের দাগ খুব সহজেই দূর হতে থাকবে।


৬.কমলা লেবু...


কমলা লেবুর ছিল্কা তে এক রকমের আসিড থাকে যেটা মুখের কালো দাগ দূর করতে সাহায্য করে। দুই টুকরা কমলা লেবুর ছিল্কা রোদে শুকিয়ে নিন। এই শুকনো ছিলকা মুখের কালো দাগে ঘসতে থাকুন। অবশ্যাই মুখের দাগ এক সপ্তাহর মধ্যে দূর হয়ে যাবে।


৭.কলার ছিলকা.. 


দুই থেকে তিনটি কলার ছিলকা নিন এবং ওই ছিল্কার ভিতরের দিক মুখের কালো দাগের উপর ঘসতে থাকুন কিছু দিন এতে মুখের কালো দাগ অতি সহজে দূর হয়ে যায়। দিনে দুই বার এই কাজটি করুন।



৮.আলুর রস...


আলুর রস মুখের কালো দাগ খুব সহজে দূর করে দেই। প্রথমে একটা আলু কে টিপে রস বের করুন এই রস মুখের ওই কালো দাগের উপর লাগিয়ে একটু ঘসে নিন।
কিভাবে-করা-যায়
পরিস্কার চেহরা


উপরের দেওয়া টিপস গুলি অনুসরন করে কিছু দিনের মধ্যেই আপনি আপনার মুখের দাগ বাড়িতে বসে খুব সহজে দূর করতে পারবেন। তবে প্রশ্ন উঠতে পারে মুখের কালো দাগ দূর করতে কি ওই সব উপায় অনুসরন করতে হবে, উওরে বলবো না। আপনি দুই থেকে তিনটি উপায় কিছু দিন অনুসরন করতে থাকুন আর দেখুন আপনার চেহারার কি পরিবর্তন আসে।
বন্ধুরা এই টিপস গুলো যদি ভালো লেগে থাকে তবে এই পোস্ট টি অন্যদের মাঝে শেয়ার করুন যাতে সবাই এই মুখের কালোদাগ দূর করতে পারেন। যদি কিছু বলার থাকে নিচে কমেন্ট বক্সে বলুন।

সোমবার, ৩০ জুলাই, ২০১৮

জুলাই ৩০, ২০১৮

খুব অল্প সময়ে চুল পড়া বন্ধ করতে কিছু সহজ সরল টিপস(৭ টি) hair loss smart tips





আজকাল আমাদের সবারি কম বেশী চুলের সমস্যা দেখা যাচ্ছে, এই চুল পড়া বন্ধ করতে কতই না চেস্টা চালিয়ে যাচ্ছি কিন্তু কোন ফলাফল পাই না।  আজ আমরা শিখব চুল পড়া বন্ধ করতে কিছু সহজ ঘরেলু উপায় যেটি ব্যাবহার করে আপনি আপনার মাথার চুল পড়া বন্ধ করতে পারবেন অল্প কিছু দিনের মধ্যে বিনা খরচে। ভালো ভাবে  বোঝার জন্য সহজ সরল ভাষায় টিপস গুলি আলোচনা করা হল, ভাষার মধ্যে কোন ভুল থাকলে ক্ষমা করবেন।
চুল পড়া



চুল পড়া নিয়ে অনেক মানুষ আছে যাদের চিন্তার কোন শেষ নেই, এই চিন্তা হতে মুক্ত করতে নিয়ে এলাম কিছু সহজ সরল উপায় ।



চুল পড়া বন্ধ করতে ৭ টি সহজ উপায়.....


কিছু ভালো খাবারঃ- 


আপনার খাবারের তালিকায় প্রোটিন, আয়রন, জিঙ্ক এর সাথে ভিটামিন c যুক্ত কিছু খাবার রাখুন, এবং তেল জাতীয় খাবার কম খাওয়ার চেস্টা করুন। তেল জাতীয় খাবারে প্রভাবে পেটে গ্যাস্টিক হয়ে থাকে যা আপনি বুঝতে পারেন না এই গ্যাস্টিক চুলের গোড়া কে নরম করে, ফলে চুল পড়া অনেক টা বাড়তে থাকে।


চুলে কেমিক্যাল ব্যাবহারঃ-


অনেক সময় আমরা চুল কে সুন্দর দেখানোর জন্য অনেক সময় কেমিক্যাল ব্যাবহার করে থাকি যা আমাদের চুলের অনেক ক্ষতি করে দেই। চুল কে কালার করার জন্য অনেকেই এই কেমিক্যালের ব্যাবহার করে থাকে। চুল পড়া বন্ধ করতে কেমিক্যালের ব্যাবহার ছেড়ে দিন। ন্যাচরালি চুলের কালারে চুল অনেক সুন্দর দেখায়।
চুল পড়া



মেহেন্দির ব্যাবহারঃ-


চুল পড়া বন্ধ করতে চুলের গোড়া শক্ত করতে হবে। চুল শক্ত করতে চুল কে অনেক পোষন দেওয়া দরকার, চুলে মেহেন্দি করলে চুলের গোড়ায় অনেক পোষন পায় ও মেহেন্দি চুলের গোড়া কে শক্ত করে ফলে চুল পড়া বন্ধ হয়। তাই চুলে মেহেন্দি ব্যাবহার করুন। মেহেন্দি ডিমের সাথে মিশ্রিত করব চুলে লাগান, এতে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।


ব্যায়াম করুনঃ-


আমাদের দেহের ফিজিক্যালি সমস্যা অনেক সময় চুল পড়ার বড় কারন হয়ে থাকে, তাই ব্যায়াম করা অভ্যাস করুন, কম করে ১৫ মিনিট ব্যায়াম করলে আপনার শরীরে কোন ফিজিক্যালি সমস্যা থাকবে না ফলে চুল পড়া বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশী।


ধুমপান ও মদ্যপানঃ-


ধুমপান ও মদ্যপান আমাদের দেহে এমন এক টক্সিন স্রস্টি করে যা আমাদের চুলের অনেক ক্ষতি করে, যদি আপনি আপনার চুল সত্যিই ভালোবাসেন তবে এগুলো পরিত্যাগ করতে হবে।


মধু ব্যাবহারঃ-


মধুর ব্যাবহার চুল পড়া বন্ধ করতে অনেক সাহায্য করে, তাই সপ্তায় একবার এক চামচ মধু ও একটু লেবুর রস মিশিয়ে স্নান করার এক ঘন্টা আগে চুলে লাগিয়ে নিন, এতে চুল পড়া অনেক টা বন্ধ হয়ে যায়।


পেপের নুস্কেঃ-


কাচা পেপের নুস্কা চুলের যত্ন রাখতে খুব সাহায্য করে। কাচা পেপের নুস্কা বানিয়ে চুলের উপর লাগান এবং আধ ঘন্টা বাদ ধুয়ে ফেলুন, এতে আপনার চুল পড়া অবশ্যাই কিছু দিনের মধ্যে বন্ধ হয়ে যাবে।

উপরে দেওয়া টিপস গুলো ব্যাবহার করে আপনি বিনা খরচে ঘরে বসে আপনার চুল কে রক্ষা করতে পারবেন। আপনার চুল রক্ষা করতে আমাদের দেওয়া যুক্তি গুলো ভালো লাগলে একটা লাইক দিন এবং পোস্ট টা অন্য বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন যাতে তারা ও চুল পড়ার চিন্তা থেকে মুক্ত হতে পারে।