ব্লগিং টিপস, স্টিমিট টিপস, স্বাস্থ্য ও মন ঠিক রাখার উপায়, ইংরেজিতে কথা বলার সহজ সরল উপায়, অসমাপ্ত ভালোবাসার কাহিনী,

শুক্রবার, ৩ আগস্ট, ২০১৮

কাদিয়ে দেবে এই ভালোবাসার কাহিনী,ভালোবাসার পরিণাম মৃত্যু- fail in love, heart touching love story

কাদিয়ে দেবে এই ভালোবাসার কাহিনী,ভালোবাসার পরিণাম মৃত্যু- fail in love, heart touching love story... 


ভালোবাসা কোন জাত পাত দেখে হয় না, ভালোবাসা কোন সময় দেখেও হয় না, ভালোবাসা কখন কিভাবে হবে কেউ বলতে পারে না কারণ ভালোবাসা মনের আকর্ষণ, এটি হঠাত করে মন থেকে সৃষ্টি হয়। ভালোবাসার শেষ পরিণতি কি হবে সেটা ও মানুষ বুঝতে পারে না কারণ মানুষ যখন কাউকে ভালোবেসে ফেলে তখন সে অন্ধ হয়ে যায়, তার চোখ শুধু ভালোবাসা ছাড়া আর কিছুই দেখতে পাই না।



আজ এমনি একটি অন্ধ ভালোবাসার গল্প বলবো যার পরিণতি খুব ভয়ঙ্কর। গল্প টি যদি ও আমার না তবে পুরোটাই একটা সত্য ঘটনা।
মৃত্যু
একটা ছেলে একটা মেয়েকে ভালোবাসতো, মেয়েটি ও ছেলেটি কে খুব ভালোবাসতো, কিন্তু ছেলেটি ছিল খুব গরিব একজন অটো চালকের ছেলে আর মেয়েটি ছিল একজন বড়লোকের মেয়ে তাছাড়া মেয়েটি ও ছেলেটির জাত ছিল আলাদা তাই তাদের প্রেম নিয়ে তারা এক সময় খুব কঠিন এক পরিস্থিতির সামনা সামনি হয়েছিল। জাত ও টাকা পয়সার বিভেদের কারণে ছেলেটির ভালোবাসা তো হারিয়ে ফেলেছিল এমন কি তাকে এই ভালোবাসা মৃত্যর মুখে ও ঠেলে দিয়েছিল।




ছেলেটির নাম আসিফ এবং মেয়েটি বুলটি এক ক্লাসের স্টুডেন্ট ছিল এবং ওই স্কুল থেকেই তাদের ভালোবাসার সৃস্টি হয়।এই ভালোবাসা কে ঘিরে তারা অনেক স্বপ্ন দেখেছিলো কিন্তু নিয়তির খেলা কে বা বুঝতে পারে। তাদের এই ভালোবাসা এমন হয়ে উঠেছিল যেন একটি সুতোয় বাধা থাকে দুইটি ফুল। কিন্তু জীবনে এমন কিছু সময় আসে যা আমরা কল্পনা ও করতে পারি না। দীর্ঘ  দুই বছর এই প্রেম নিয়ে আসিফ আর বুলটি খুব হাসি খুশি তে তাদের জীবন অতিবাহিত করছিলো। হঠাত করে দেখা দিল এমন এক লিলা খেলা যা ছিন্ন ভিন্ন করে দিয়েছিল দুটি ফুলের মত জীবন।


ঃ ভালোবাসার উপর নিয়তির ঝড়...



একদিন আসিফ বুলটি কে বললো তুমি কি আমাকে বিয়ে করতে পারবে? আমি তোমায় ছাড়া পৃথিবী তে বেচে থাকার কথা কল্পনা ও করতে পারিনা, মেয়েটি বলল হ্যা আমি ও তোমায় কোনদিন ভুলে থাকতে পারবো না, আমি তোমায় বিয়ে করতে রাজি আছি কিন্তু আমাদের বাড়িতে এই বিয়ে মেনে নিবে না এবং আমাদের এই কঠিন সমাজ আমাদের ভালোবাসা নিয়ে পৃথিবীতে বেচে থাকতে দেবে না। তাড়িয়ে দেবে আমাদের। ছেলেটি বলল তবে আমি যেই দিন নিজের পায়ে দাড়াব সেই দিন তোমায় বিয়ে করে নিয়ে যাবো যাতে এই সমাজ আমাদের উপর অত্যচার না করতে পারে, ছেলেটির এই কথা শুনে মেয়েটি তার উপর ভরসা রাখতে না পেরে বলেছিল আমি অন্য কোথাও বিয়ে করলে কি হবে তবু ও তোমার জন্য আমার প্রেম এক বিন্ধু ও কম হবে না।আমার যতক্ষন শ্বাস চলবে তোমায় ভালোবাসতে থাকবো। এই কথা শুনে ছেলেটি মেয়েটির কাছ থেকে দূরে সরে যাওয়ার কথা মনে গেথে নিয়ে ছিলো এবং মেয়েটি যাতে ছেলেটি কে ঘৃণা করে সেই আচরণ করতে থাকে। ছেলেটি যদি ও মেয়েটি কে খুব ভালো বাসতো তবু ও মেয়েটি যাতে খুব সুখে থাকতে পারে তাই অনেক কষ্ট বুকে নিয়ে মেয়েটির সুখের আশায় নিজের ভালোবাসা কে কুরবানি করল।





এই কথা হওয়ার পর ছেলেটি মেয়েটির কাছ থেকে আস্তে আস্তে সরে যেতে থাকে এবং দেখা কথা ও কম হতে থাকে। এক সময় বুল্টির মা বাবা একটা ছেলে দেখে বুল্টির বিয়ের দিন ঠিক করে ফেলে। বিয়ের দিন আসিফ তার শেষ বিদায়ের প্ল্যান বানিয়ে ফেলে। অনেক ধুম ধাম করে বিয়ে হচ্ছে এই সময় আসিফ ফোন করে মেয়েটির ছোট বোন কে এবং বলে আমার কথা গুলো মোবাইলে রেকোডিং করে রেখো আর তোমার বোনের বিয়ের দুই দিন পর তাকে শুনিয়ে দিও আমি ওকে ছাড়া কোন দিন বাচার চেষ্টা করি নি আর বুলটি অন্য কারু হোক এটা আমি কিভাবে মেনে নিতে পারি এই বলে ফোন টা কেটে দেই।
বিয়ে

 বিয়ের দুই দিন পর বুলটির ছোট  বোন বুল্টি কে ডাকে কিছু শোনাবার জন্য এবং সেই রেকোডিং টা প্লে করে, রেকোডিং প্লে হতেই বুলটি বুঝে যাই এটি তো আসিফের আওয়াজ তুই কোথায় পেলি? সে কেদে ফেলে আর বলে দিদি তোমার যখন বিয়ের অনুসঠান চলছিলো তখন আসিফ ফোন করেছিল কিন্ত আমি তোমায় জানাতে পারি নি আমি শফতের শিকলে বাধা ছিলাম। বুলটি তাকে ধমক দিয়ে বলে ফোন লাগা, ফোন লাগিয়ে ফোনে আওয়াজ শুনতে পায় আসিফের মার, বুল্টি জিঙ্গেস করে আন্টি আসিফ কোথাই? আসিফের মা কান্নায় ভেঙে পরে এবং বলে গত ১০ জানুয়ারি আসিফ গলায় ফাসী লাগিয়ে আত্মহত্য করেছে কিন্ত কেন এসব করলো আমি কিছুই জানি না।  (এটা সেই ১০ জানুয়ারি যেদিন বুলটির বিয়ে হয়) এই কথা শুনে মেয়েটি ও কান্না করতে করতে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে, এখন আর কি করার আছে যেই আসিফের নাম বুলটির প্রতিটি শ্বাস প্রশ্বাসে মিশে থাকতো সেই আসিফ চিরতরে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছে বুলটির সুখের জন্য। বুলটি ভরসা করতে পারে নি আসিফের উপর, আর এই তার পরিণাম। একটা তাজা জীবন হারিয়ে গেল এই অবিশ্বাস আর অভরসার কারনে। এদিকে বুলটি ও বিয়ে করে নতুন মানুষ পেয়ে কেদে কেদে কাটিয়ে চলেছে তার সেই বিয়ের পরের জীবন।
দুঃখের জীবন

এভাবেই মানুষ নিজের জীবন শেষ করে দিচ্ছে ভালোবাসার কারনে, তারা মনে করে ভালোবাসাই জীবন, নাকি জীবনই ভালোবাসা এছাড়া আজ আমার প্রশ্ন এই সমাজের কাছে ভালোবাসা কি মহাপাপ? যার জন্য তাজা তাজা জীবন প্রতিনিয়ত হারিয়ে যাচ্ছে এই পৃথিবী থেকে কমেন্টে অবশ্যই জানাবেন আপনার মতামত আর পোস্ট টা অন্য বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন যারা এই পরিস্তিতির মুখে রয়েছে। শিখিয়ে দিন সবাই কে জীবন সবচেয়ে উত্তম।




ঃ বিশেষ দৃষ্টান্ত..


আমি ভালোবাসি নি আর এটি আমার ঘটনা ও না তবে প্রতিনিয়র ঘটে চলেছে এই ঘটনা। আপনার যদি জানা থাকে এরকম ভয়ানক   দৃস্টান্ত অবশ্যাই আমাদের সাথে শেয়ার করবেন।
এটাও পড়ুন.....
একটা অসমাপ্ত ভালোবাসার কাহিনী,( ব্যার্থ প্রেম)-a heart touching sad love story

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন